সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার নর্থ—ইস্ট সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সিলেট এএমএ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে আহতরা হলেন, ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মন্তাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০) ও রজনি চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ—ইস্ট সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) শ্রমিকরা। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার মেশিনের কাছে গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এ সময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তালতলা স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে ফুয়েলিং স্টেশনে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন কর্মচারীরা। এ সময় সিসিকের ৫ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেট তালতলা ফায়াস সার্ভিস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার জানান, খবর পাওয়ামাত্র একটি ইউনিট সেখানে যায়। তবে সেখানে যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, খবর পেয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তিনি চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।