স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় মওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সাদ পন্থিদের মতবিরোধ নিরসনের চেষ্টা চলছে। আমরা আশাকরি, আগামীতে এ মতবিরোধের নিরসন হবে। এছাড়া, প্রতিবারের ন্যায় এবারও কয়েক ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে ইজতেমায়। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুইটি পর্বে সাড়ে পাঁচ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলোআপ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তায় ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, পোশাক এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি থাকবে। গতবারের ন্যায় এবারো ইজতেমা ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইজতেমায় কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্য সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতবারের মতো এবারো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে যথা নিয়মে সাদপন্থিদের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করা হবে। তবে, গত বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে ময়দানের আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, তাবলীগ জামাতের জোবায়ের ও সাদপন্থি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর টঙ্গী তুরাগ তীরে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।