ফাহিম আশরাফের করা ইনিংসের শেষ বল। ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারলেন মুশফিকুর রহিম। লং অফ অঞ্চলে বল আছড়ে পড়লো বাউন্ডারির বাইরে। ফরচুন বরিশালের পুরো ইনিংস জুড়ে মুশফিকের মতো দেশি ক্রিকেটাররা রাজ করেছেন।
সৌম্য সরকার-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওর সঙ্গে তামিম ইকবালের দৃঢ়চেতা ব্যাটিং, বরিশালের ইনিংস জুড়ে রাজত্ব করেছে দেশিরা। আর তাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২২ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করে বরিশাল। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন মুশফিক। মাত্র ৩৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মারের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
ইব্রাহিম জাদরানের ১৬ বলে ১১ রানে বরিশালের শুরুটা কিছুটা ধীরগতির হয়। তবে সৌম্য ক্রিজে আসতেই বদলে যায় চিত্র। ছয় দিয়ে ইনিংস শুরু করা সৌম্য মাত্র ১০ বলে ২২ রান করেন। রানআউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। অন্য প্রান্তে তামিম খেলছিলেন সাবলীল, সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি।
সৌম্য ফিরলে ক্রিজে আসেন মুশফিক। মুশফিক ধীরে ধীরে চওড়া হতে থাকেন ব্যাটারদের উপর। দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৭ রান। তামিম ৩৩ বলে ৪০ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এবার মুশফিকের সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ। দুই প্রান্তে দুজনে সমানভাবে ব্যাট চালাতে থাকেন। মাত্র ৩২ বলে ৫৪ রান যোগ হয় বরিশালের স্কোরবোর্ডে।
মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ২৭ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৩২ বলে ফিফটি হাঁকানো মুশফিক তখনও ব্যাট চালাচ্ছিলেন আগের গতিতেই। এবার শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৯ বলের জুটিতে যোগ করেন ১৬ রান। যাতে মুশফিকের অবদান ৩ বলে ১১!
পিওর দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের দিন বিপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে অনন্য কীর্তি গড়েন তামিম। প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে তামিম ৩ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান। এই কীর্তি থেকে মুশফিক আছেন ২৪ রান দূরে।
খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ওশান থমাস, নাসুম আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম। সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন মুকিদুল, তিনি তিন ওভারে দেন ৩৪ রান। কৃপণ ছিলেন নাহিদুল, কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৩ রান!