নাজমুল ইসলাম অপুর করা বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়ছিলেন বাবর আজম। বল মাটি স্পর্শ করেই ব্যাট ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। বলের মুভমেন্ট বুঝতে পারেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই তারকা ব্যাটার।
অবশ্য মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের এমন রহস্যময়ী আচরণ সম্পর্কে বাবর আগে থেকেই অবগত।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করতে নেমে ব্রডকাস্ট চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে উইকেটের রহস্য নিয়ে কথা বলেন রংপুর রাইডার্সের এই পাকিস্তানি তারকা।
‘এখানে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। সত্যি বলতে আমিও এই পিচের আচরণ সম্পর্কে বলতে পারব না। প্রতিবার এটি ভিন্ন আচরণ করে। এখন মনে হচ্ছে তুলনামূলক ভালো উইকেট। কিছুটা ময়েশ্চার আছে। প্রথম কয়েক ওভার গুরুত্বপূর্ণ।’
বিপিএলে দিনে-রাতে মিরপুরের উইকেটের আচরণ দুই রকম। দুপুরের ম্যাচে রান খরা চলছেই, আর রাতের ম্যাচে দেখা যায় টি-টোয়েন্টির জৌলুস। দিনের ম্যাচে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান উঠেছে ১৪৩, সর্বনিম্ন ১২০।
উইকেটের স্পিনের সহায়তা নিয়ে এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখানে বড় চ্যালেঞ্জটা হলো স্পিন। এখানে স্পিন সহায়ক উইকেট থাকে এবং সবাই খুব ভালো মানের স্পিনার। এটি আমার দ্বিতীয় বিপিএল। প্রথমবার ভিন্ন দলে খেলেছি। খুবই রোমাঞ্চিত আমি।’
গতকাল রাতে দীর্ঘ বিমানযাত্রা শেষে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। দুপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় বেশিক্ষণ বিশ্রামেরও সুযোগ পাননি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে চান এই ব্যাটার।
‘দীর্ঘ বিমান যাত্রা শেষে এসেছি। এখানে আসার জন্য দুটি ফ্লাইট ধরতে হয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করেছি। যখনই খেলতে নামি, প্রত্যাশা সবসময়ই উঁচুতে থাকে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’
প্রথম ম্যাচেই সেটা করে দেখান তিনি। বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরে ৪৯ বলে ৬ চারে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
রংপুর রাইডার্সের ভক্তদের মাঠ এসে খেলা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বাবর, ‘আমি শুধু বলব, রংপুর রাইডার্সকে সমর্থন করুন এবং স্টেডিয়ামে এসে দলের খেলা দেখুন, সমর্থন করুন।’