চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে শুরু হলো মাসব্যাপী ফুল উৎসব। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি নানা রঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ডিসি পার্ক। ১২৭ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুলের চারা রাখা হয়েছে এই পার্কে। সাগরপাড়ে ১৯৪ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে দুবাইয়ের মিরাকেল গার্ডেনের আদলে বিস্তৃত ফুলের নগরী। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বন্দর-ফৌজদারহাট টোল রোডের পাশে গড়ে উঠেছে ‘ডিসি পার্ক’নামের এই ফুলের সমারোহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম।
এক সময়ের মাদকের আস্তানা ও অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৯৪ একর ভূমি গত বছর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। উদ্ধারের পর এই ভূমিতে বিস্তৃত ফুলের বাগানসহ পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘ফুলের মতো আপনি ফোটাও গান’প্রতিপাদ্যে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হয়েছে। ডিসি পার্কে দেশি-বিদেশি ১২৭ প্রজাতির কয়েক লক্ষ ফুলের সমারোহ রয়েছে। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডস থেকে বীজ এনে ফোটানো হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার টিউলিপ ফুল। উৎসবে প্রদর্শনীতে রয়েছে চট্টগ্রামের চিত্রশিল্পীদের প্রায় ২০০টি চিত্রকর্ম। উৎসবে আসা দর্শনার্থীদের নিজেদের ছবির ক্যারিকেচার আঁকার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আয়োজন রাখা হয়েছে ঘুড়ি উৎসব, আতশবাজি, পুতুলের নাচ ও জাদু প্রদর্শনী। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন।
মাসব্যাপী এ উৎসব শেষ হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। এবার প্রত্যেক দর্শনার্থীর পার্কে প্রবেশের জন্য ৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।