খেলাধুলা

সাকিবকে ‘ওয়ার্কলোড’ কমানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের

সকালে এই শহর তো বিকেলে আরেক। আজ এই দেশে তো কাল আরেক। দিনে খেলা তো বিকেলে দূতিয়ালি ব্যস্ততা। রাতেও ব্যস্ত সূচি। সঙ্গে ব্যাট-বল নিয়ে লড়াই চলমান। দম ফেলানোর যেন ফুরসত নেই।

সাকিব আল হাসানের প্রতিটি ঘণ্টা, মিনিট ব্যস্ততার চাদরে ঘেরা। যেখানে বিশ্রামের জন্য তাকে নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই করতে হয়। খেলার মাঠের সাকিব এখন রাজনৈতিক ময়দানেও নেমেছেন। নিজের শহর থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সাংসদ। ফলে খেলার মাঠ, বিজ্ঞাপন, সংসদ এবং রাজনীতির ময়দান সব কিছুতেই তার ব্যস্ততা। সঙ্গে পরিবার তো আছেই। সবকিছুই ঠিকঠাক মতোই চলছিল। কিন্তু বাধ সাধে তার চোখের সমস্যা।

গত অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ চলাকালীন চোখের সমস্যা অনুভব করেন সাকিব। শুরু হয় তার চিকিৎসা। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও সবশেষ সিঙ্গাপুরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে জানা গেছে, সাকিব এক্সট্রাফভয়াল সেন্ট্রাল সেরাস রেটিনোপ্যাথি রোগে ভুগছেন। সেন্ট্রাল সেরাস রেটিনোপ্যাথি হলো চোখের একটি অবস্থান, যেখানে রেটিনার পেছনে তরল জমা হয় এবং দৃষ্টিকে প্রভাবিত করে। সংক্ষেপে একে সিএসআর বলে। বয়সভেদে এই রোগের চিকিৎসা ভিন্ন। আপাতত সাকিবের জন্য রক্ষণশীল ব্যবস্থায়ই যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তে না গিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হবে। এই ব্যবস্থায় কাজ হবে বলেও আশাবাদী বিসিবির চিকিৎসকরা। তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত। সাকিবকে কমাতে হবে ওয়ার্কলোড।

সর্বপ্রথম হচ্ছে, পর্যাপ্ত বিশ্রামের নিশ্চয়তা নিশ্চিতকরণ। যতটা সময় সাকিব বিশ্রামে থাকবেন ততটাই তার চোখের উন্নতি হবে। দ্বিতীয়ত, মানসিকভাবে তাকে চাঙ্গা থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কাজের চাপ না নিতে এবং যতটা সম্ভব ফুরফুরে থাকার কথা বলা হয়েছে। আপাতত সেই সুযোগটি তার একটু কম। বিপিএল চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে।

গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরে আজ সিলেটে ছুটেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কালই মাঠে দেখা যাবে তাকে। বিপিএলের পরই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। বেছে বেছে ম্যাচ খেলা ছাড়া সামনে সাকিবের পক্ষে বিশ্রামে থাকার সুযোগ কম।