খেলাধুলা

সাকিবের নিষ্প্রভতার দিনে দুই অলরাউন্ডারের কাছে পাত্তাই পেলো না রংপুর

চোখের চিকিৎসায় আজ এ দেশ তো কাল ও দেশ দৌড়ে বেড়ানো সাকিব আল হাসানের দিকে ছিল সবারই আলাদা নজর। কিন্ত হতাশ করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের নিষ্প্রভতার দিনে খুলনা টাইগার্সের দুই অলরাউন্ডারের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে পাত্তাই পেলো না রংপুর রাইডার্স।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রংপুর-খুলনা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে খুলনা। তাড়া করতে নেমে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে ১৩২ থামে রংপুরের ইনিংস। ২৮ রানের জয়ে হ্যাটট্রিক করলো এনামুল হক বিজয়ের দল।

তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রংপুর। সঙ্গে রনি তালুকদারের ধীরগতির ইনিংসে আরও বিপদ বাড়ে। ২৫ বলে ১৫ রান করেন এই ওপেনার।  সেই ধাক্কা থেকে আর বেরোতে পারেনি দলটি।

এক প্রান্তে মোহাম্মদ নবী ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তবে অন্য প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিলে এই ইনিংস হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজ করেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩০ রান আসে শামীম হোসেন পাওটায়ারির ব্যাট থেকে।

সাকিব ব্যাটিংয়ে আসেন ৮ নম্বরে। সাইফের বল খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। বিশ্বকাপ থেকে যেন একই আউটের পুনরাবৃত্তি। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় খুলনা। তাতে দেখা যায় ব্যাট ছুঁয়ে বল বন্দি হয় বিজয়ের গ্লাভসে। ৪ বলে ২ রান করেন সাকিব। ব্যাট হাতে তার ভূমিকা যেন একজন বোলারের মতো! নেমেছেন আটে!

রংপুরের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন ব্যাট হাতে দারুণ করা মোহাম্মদ নাওয়াজ ও দাশুন শানাকা। ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংসের পাশাপাশি বল হাতে একাই নেন ৪ উইকেট শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার! ৩ ওভারে দেন মাত্র ১৬ রান! নাওয়াজ ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

এর আগে শানাকা ও নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন এভিন লুইস। তবে আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় ৬৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা টাইগার্স। মেহেদীর বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েন ৭ বলে রানের খাতা খুলতে না পারা বিজয়। 

খুলনার অধিনায়ক ফিরলেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন লুইস। তাকে অবশ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ধরা পড়েন। চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। এরপর লুইসকে (৩৭) ফেরান হাসান মাহমুদ।

বাকি পথটা পাড়ি দেন শানাকা ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৭ রান। ৪০ রান করা শানাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। ডানহাতি এই পেসারের ফুলটস ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটার। এদিকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাওয়াজ। তাতে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলে খুলনা।

রংপুরের হয়ে হাসান তিনটি এবং মেহেদী নিয়েছেন দুটি উইকেট।