বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেছেন, ‘সমুদ্রসম্পদ ঘিরে আমাদের কিছু সম্ভাব্য পরিকল্পনা রয়েছে। সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। সরকারের নেয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোও এর সুবিধা পাবে। টেকসই সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে অপার সম্ভাবনাময় দেশ।’
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারস্থ বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ওসানোগ্রাফি ফর সাস্টনেবল ব্লু ইকোনমি ইনুভেশন ফর বেটার ফিউচার’।
মো. আলী হোসেন বলেন, ‘সরকার সমুদ্রসম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চায়। সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানিরা বিশাল বঙ্গোপসাগরের সম্পদ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের গবেষকদের এখানে এসে দেখা উচিত, আসলে প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রসম্পদ ব্যবহার উপযোগী করে কীভাবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে।’
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখা সমুদ্র দিন দিন দুষণে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহূত অপচনশীল প্লাস্টিক সাগরের তলদেশে জমা হওয়ার কারণে এ দুষণ আরও বাড়ছে। এমন অবস্থা হতে থাকলে আমাদের ক্ষতি হবে। তাই দুষণরোধ ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আমাদের বিশাল সমুদ্রসম্পদ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।’
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খোরশেদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।
দুই দিনব্যপী দেশের প্রথম সমুদ্র বিষয়ক সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে আসা সমুদ্র বিজ্ঞানি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।