খেলাধুলা

‘টি-টোয়েন্টিতে রিলাক্সে খেলা যাবে না’, তামিম-সৌম্যর ইনিংস নিয়ে মিরাজ

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য রান তাড়ায় ফরচুন বরিশালের ওভারপ্রতি প্রয়োজন ছিল সাড়ে নয়ের বেশি। পাকিস্তানি ব্যাটার আহমেদ শেহজাদের ঝড়ে পাওয়ার প্লে-তে ওভার প্রতি ১০ রান করে তোলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শেহজাদ দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়ে ফেরার পর বরিশালের রানের গতি কমে যায়। 

দ্বিতীয় উইকেটে নতুন ব্যাটার সৌম্য সরকারের সঙ্গে তামিম ইকবালের জুটিতে ২৯ বলে যোগ হয় মাত্র ৩৬ রান। তামিম ২৯ বলে ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। ৩ বলের ব্যবধানে তামিমের পথ অনুসরণ করেন সৌম্যও। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৭ রান। 

১৯৪ রান তড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরুর পর হঠাৎ রানের গতি কমে যাওয়ায় চাপে পড়ে দলটি। সঙ্গে তামিম-সৌম্যর উইকেটের পতনে আরও বিপদ বাড়ে। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ইয়ানিক কারিয়ারও কোনো অবদান রাখতে পারেননি। 

এক পর্যায়ে ওভার প্রতি রান-রেট বাড়তে থাকে। মেহেদি হাসান মিরাজের ঝড়ে কাছাকাছি গেলেও হার ঠেকাতে পারেনি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত ১০ রানে হেরে হারের হ্যাটট্রিক করে তামিমের বরিশাল।

কিন্তু উড়ন্ত শুরুর পর তামিম-সৌম্যদের ইনিংসে রানে গতি কমে যাওয়াতে দলের জন্য চাপ হয়ে গেছে কি না? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেন প্রতিনিধি হয়ে আসা মিরাজ এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, টি-টোয়েন্টিতে রিলাক্সে খেলা যাবে না। 

‘টি-টোয়েন্টিতে বেশি রান করতে গেলে প্রত্যেক ওভারে রান-রেট ঠিক রাখতে হবে। দেখেন আমরা ১৯৪ রান চেজ করতে নেমেছি, সাড়ে ৯ করে লাগে ওভারে। এখানে (টি-টোয়েন্টিত) কোন ওভারে রিলাক্সে খেলা যাবে না। প্রথম ৬ ওভারে আমরা যেভাবে খেলেছি ২০ ওভার পর্যন্ত ওভাবে খেলতে হবে। এভাবে না খেললে রান-রেট বেড়ে যাবে। ’

‘ওরা মাঝখানে দুটা ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওখানে আমাদের তিনটা উইকেটে চলে গেছে। উইকেটও পড়েছে আমাদের রান-রেটও বেড়েছে। একটা সময়ে আমাদের ১৪ করে রান লাগতেছিল। ওটা যদি ১০/১১ বা কাছাকাছি থাকতো, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য সহজ হত। আমরা ১০ রানে হেরেছি, একটা ওভার বেশি রান হতেই পারে। উইকেটটা ভালো। আমাদের ছোট-ছোট যে ভুলগুলো ছিল এ জন্য আমরা হেরে গেছি’-আরও যোগ করেন মিরাজ। 

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আভিস্কা ফার্নান্দোর ৯১ আর কার্টিস ক্যাম্পারের ক্যামিওতে দুইশর কাছাকাছি স্কোর করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে বরিশাল থামে ১৮৩ রানে।  

বেশি রান দেওয়ায় মিরাজ নিজেদের বোলারদেরও দোষও দেখছেন কিছুটা, ‘টি-টোয়েন্টি খেলায় এমন কিছু সময় আসে যে বোলার শেষদিকে কতটুকু প্রয়োগ করতে পারে, কারণ শেষের দিকে তো বিপক্ষ ব্যাটাররা প্রতি বলেই মারতে চাইবে। হয়ত আমাদের বোলারদের এই অংশতে প্রয়োগ করতে পারছি না সেভাবে।’