সারা বাংলা

মাদকবিরোধী সভায় না আসায় ডিসি-এসপিকে শামীম ওসমানের হুঁশিয়ারি

মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জের এক সভায় শামীম ওসমানের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এতে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এই সংসদ সদস্য। এতে রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরে কখনও এত বিব্রত হননি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যারা আছেন, তাদের জানা উচিত আমি শামীম ওসমান। আমি কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে চলি না। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে প্রশ্ন তুলব, দাওয়াত কবুল করার পরও নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি কার ইশারায় মাদকবিরোধী জনসভায় অনুপস্থিত থাকেন? আমার রাজনৈতিক ৪৫ বছরের জীবনে এত বিব্রত হইনি।’

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, এখানে মাদকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান যা প্রশাসনের করা উচিত; তারা করেননি, আবার আসেননি। কেন আসেননি বক্তারা এর জবাব চান। এ ব্যাপারে শামীম ওসমানের পদক্ষেপ চান তারা।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি তাদের (প্রশাসন) দাওয়াত দিয়েছি। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের (জনগণের) মনের জোর বাড়াব। আমি অনেক আগে ডিসি অফিসে জানিয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অথচ প্রশাসন মাদকবিরোধী জনসভায় অনুপস্থিত থাকে। আমি বলতে চাই, সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাথানত করার মানুষ না। অনেকে অনেক কিছু করেন, আমরা দেখি। টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ী, মামলা হয় ফতুল্লায়। এগুলো বলতে চাই না।’ 

উপস্থিত নারায়ণগঞ্জবাসীকে অভয় দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরাই ঠিক করব।’ 

অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।