এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শুরুটা বাজে হলেও বাংলাদেশের শেষটা হয়েছে দারুণ। জয় দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করা বাংলাদেশ পা রেখেছে সুপার সিক্সে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার লড়াই সেমিফাইনালে ওঠার। তবে কাজটা সহজ হবে না। প্রতিপক্ষ যে কঠিন!
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে ১৬ দলের মধ্যে ১২টি দল জায়গা করে নিয়েছে সুপার সিক্সে। এই ১২ দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে সুপার সিক্স, প্রতি গ্রুপে ৬টি করে দল থাকবে। তবে একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে না। আসরের ফরম্যাট অনুযায়ী প্রতিটি দলের ম্যাচ ২টি। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পাকিস্তান ও নেপালকে।
গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারলেও আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয় বাংলাদেশ। ভারত প্রথম এবং আয়ারল্যান্ড তৃতীয় হয়। সুপার সিক্সে এই তিন দলের সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও নেপাল। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় হয়ে আসা বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অপর গ্রুপের প্রথম ও তৃতীয় দলকে।
সেমিফাইনালে ওঠার নিয়ম হলো, সুপার সিক্সের প্রতিটা দলের দুটি করে ম্যাচের পর শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। শীর্ষস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বের পয়েন্টও ভূমিকা রাখবে। একই গ্রুপ থেকে উঠে আসা দলের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট ও নেট রানরেট সুপার সিক্সে মোট পয়েন্টের সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডকে হারানোয় ২ পয়েন্ট, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত পাচ্ছে ৪ পয়েন্ট। পাকিস্তানেরও আছে ৪ পয়েন্ট।
সুপার সিক্স শুরুর আগে গ্রুপ ওয়ান–এর যে পয়েন্ট তালিকা, সেখানে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ভারত। পাকিস্তানের পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেটে দলটি দ্বিতীয় স্থানে। একই ভাবে নেট রানরেটের কারণে চার নম্বরে ২ পয়েন্টধারী বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়েও তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড।
সুপার সিক্সের খেলা শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩১ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ নেপাল। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম ম্যাচটি হবে ব্লুমফন্টেইনে, পরেরটি বেনোনিতে।