রাজধানীতে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে সুনাম অর্জন করা ব্যবসায়ী মো. খলিলকে হত্যার হুমকিদাতা দুজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন—অপর মাংস ব্যবসায়ী নূরুল হক ও তার দোকানের কর্মচারী ইমন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে সোহাগ ফকির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে নূরুল হক ও ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খলিলকে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করতে নিষেধ করেন নূরুল হক। তা না করলে খলিল ও তার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় খলিল শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রোববার তিনি মামলা দায়ের করেন।
গরুর মাংসের দাম যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি ছিল, তখন ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল।
খলিল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, দুটি নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসে। তারা বলেন, তোর ছেলের জন্য ছয় বুলেট, তোর জন্য ছয়টা রেখেছি। কথা না শুনলে বাবা-ছেলেকে মেরে ফেলব। ভয়ে আমি শাহজাহানপুর থানায় জিডি করেছি।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে গত দুই মাস ধরে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে প্রশংসিত হন খলিল।