খেলাধুলা

তাসকিনদের উড়িয়ে বিপিএল ইতিহাসের পাতায় বিজয়ের খুলনা

এসএম মেহরবকে মিড উইকেটে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নেন এনামুল হক বিজয়। শূন্যে মুষ্টি ছুঁড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে একপেশে জয় এলেও বাড়তি উচ্ছ্বাস থাকারই কথা, এটি যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের মধ্যে একটি!

সিলেটে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩০ রান করে ঢাকা। তাড়া করতে নেমে ৩২ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দেয় খুলনা। বিপিএলে এর আগে তিনবার কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের রেকর্ড রয়েছে।

২০১২ সালে প্রথমবার রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে এই কীর্তিতে নাম লেখায় বরিশাল বুলস। এরপর ২০১৫ ও ২০১৭ সালে ১০ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম ও সিলেট। ছয় বছর পর সবচেয়ে বড় জয়ে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়লো খুলনা।

এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও হারেনি খুলনা। ৪ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।

বিজয় ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। চলমান বিপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি ফিফটি করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফিরেছেন। ৩৭ বলে ফিফটি করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ২৭ বলে ৩৭ রান করে বিজয়ের সঙ্গে আফিফ হোসেন অপরাজিত ছিলেন। 

খুলনাকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন উইন্ডিজ হার্ড হিটার এভিন লুইস। তবে ৪.৩ ওভারে তাকে মাঠ ছাড়তে হয় মাসলে টান লাগায়। মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করেন লুইস। তার ফেরার পরও রানের চাকা থামেনি। নতুন ব্যাটার আফিফকে নিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন বিজয়। আফিফও খেলছিলেন দারুণ। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬১ বলে ৮১ রান।

ঢাকায় তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামদের মতো পরীক্ষিত বোলার থাকলেও খুলনার ১টি উইকেটও নিতে পারেনি তারা। দুজনে সমান ২ ওভার করে দেন ৩৮ রান। সমান ২ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে বেশি ২৫ রান দেন আরাফাত সানি।

তার আগে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। কিন্তু ভালো শুরুর পরও তাদের সংগ্রহটা বড় হয়নি। উদ্বোধনী জুটির পর আর কেউই উল্লেখযোগ্য রান করতে না পারায় ৯ উইকেট হারিয়ে তারা মাত্র ১৩০ রান করতে পারে।

উদ্বোধনী জুটিতে সায়েম আইয়ুব ও মোহাম্মদ নাঈম ৮.৫ ওভারে ৭৫ রান তোলেন। এরপর পথ হারায় ঢাকা। দলীয় সংগ্রহে আর ৫৫ রান যোগ করতে ৯ উইকেট হারায় তারা।

৭৫ রানের সময় প্রথমে নাঈম ২১ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন। ৭৭ রানের মাথায় বিদায় নেন সায়েমও। তিনি ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন। তাদের দুজনের পর কেবল আলেক্স রস ১ চার ও ১ ছক্কায় ২১ ও আরাফাত সানী ১ চারে করেন ১৫ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।

বল হাতে খুলনার সেরা ছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মুকিদুল ইসলাম ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।