খেলাধুলা

শেষ ২ ওভারে মোস্তাফিজের ৩৯, চ্যালেঞ্জ ছুড়ল রংপুর

রংপুরের রাইডার্সের ২০ ওভারে ইনিংসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ১৬ ওভার আর শেষ ৪ ওভার। প্রথম ১৬ ওভারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির রান ছিল ১১৩, ওভার প্রতি ৭ এর একটু বেশি। আর শেষ ৪ ওভারে রংপুর তোলে ৫২ রান। ওভার প্রতি ১৩। আর এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান একাই ২ ওভারে দেন ৩৯ রান। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিং নেয় রংপুর। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। তিন ছক্কা ও দুই চারে অপরাজিত ইনিংসটি সাজানো ছিল। আজমতুল্লাহর সঙ্গে নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।

ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় দলটি। ১২ বলে ১৪ রান করেন কিং। এরপর রানি তালুকদারের পরিবর্তে খেলা ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে নিয়ে এগোতে থাকেন বাবর আজম। বাবর ধীরগতির ইনিংস খেললেও রাব্বি ঝড় তোলার চেষ্টা করেন।

বাবর-রাব্বির জুটি থেকে আসে ৪৬ বলে ৫৫ রান। ৩৬ বলে ৩৭ রানে বাবরের আউটে ভাঙে এই জুটি। ক্রিজে আসেন শামীম পাটোয়ারি। এক প্রান্তে শামীমের ধীরগতির ইনিংস রংপুরকে চাপে ফেলে দেয়। অন্য প্রান্তে রাব্বি ২০ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শামীম ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন।

শামীমের পর ক্রিজে এসে মোহাম্মদ নবী আজমতুল্লাহকে সঙ্গ দেন। নবী ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে আজমত-সোহান ইনিংস শেষ করে আসেন।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রেমন রেইফার। ১টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও খুশদিল শাহ। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। তিনি ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান। অথচ তার শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট! আর পরের ২ ওভারে তিন ছক্কা তিন চার হজম করে দেন বাকি রান।