শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তার নাম মো. নুরুল ইসলাম (৬৫)। তিনি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার তাওয়াকুচা বিটের উত্তরে সেগুনেরচালি এলাকার জঙ্গল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ হাতির আক্রমণে নুরুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নুরুল ইসলাম ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় এলাকায় গরু চড়াতে যান। সন্ধ্যার দিকে গরুর দল বাড়িতে ফিরে এলেও নুরুল ইসলাম আর ফিরে আসেননি। এরপর এলাকাবাসী ও স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাওয়াকুচা বিটের উত্তরে গারো পাহাড়ের সেগুনেরচালি এলাকার জঙ্গলে নুরুল ইসলামের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বজনেরা তাঁর লাশ উদ্ধার করে উপজেলার গুরুচরণ দুধনই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূইয়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ খবর নেন। এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা ও ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ সঙ্গে ছিলেন।
রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর রাখছি। তাদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, মৃত ব্যক্তির মুখের বামপাশ থেতলে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হাতির আক্রমণে মারা গেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
দীর্ঘ দুই যুগ ধরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের সীমান্তে লক্ষাধিক মানুষ বন্যহাতির আক্রমণ আতঙ্কে দিনযাপন করছে। এ সময়ে হাতির আক্রমণে অর্ধ-শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। অপরদিকে, নানা কারণে মারা পড়েছে ৩৫টি হাতি।