খেলাধুলা

জটিল সমীকরণের মারপ্যাঁচের ভাবনা ভুলে সতেজ বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্সে পৌঁছেছে বাংলাদেশের যুবারা। তবে এবারের টুর্নামেন্টের জটিল ফরম্যাটের কারণে সুপার সিক্সের বাধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে।

লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অধিনায়ক মাহফুজুল ইসলাম রাব্বীও জানালেন, সমীকরণটা জটিল। নেপালের বিপক্ষে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে বুধবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে মঙ্গলবার অনুশীলনের আগে অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই ফরম্যাটটা একটু জটিল। এজন্য আমরা ব্যাকফুটে শুরু করেছি। আমরা ওই জিনিসগুলো চিন্তা করছি না। আমরা আমাদের স্বাভাবিক ম্যাচগুলো যেভাবে খেলি সেভাবেই খেলতে চাচ্ছি।’

১৬ দলের বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে ১২ দল। এই ১২ দল থেকে ৬টি দল নিয়ে করা হয়েছে দুই গ্রুপ। যেখানে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনাল। সুপার সিক্সে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল ও পাকিস্তান। এই দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের শুধু জিতলেই হবে না। রান রেটের হিসেবেও নজর রাখতে হবে।

নেট রান-রেটের হিসেবে সুপার সিক্সের গ্রুপ ওয়ানে বাংলাদেশের অবস্থান চার নম্বরে। অন্যদিকে নিজেদের গ্রুপে সবকটি ম্যাচ জেতায় ভারত ও পাকিস্তান লড়াই শুরু করবে গ্রুপের শীর্ষ দুই অবস্থানে থেকে। তিনে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড এবং শেষ দুই অবস্থানে আছে আয়ারল্যান্ড ও নেপাল। সেজন্য শুধু জয় নয়, বাংলাদেশকে রান রেটের দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে।

তবে মাঠে নামার আগে এসব নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে চান রাব্বীরা, ‘আমরা আসলে প্রক্রিয়াটা ধরে রাখতে চাচ্ছি। ফলাফল নিয়ে আমরা ওতটা চিন্তিত নই। আমাদের সামনে আরেকটি ম্যাচ। আমরা প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ম্যাচটা খেলতে চাই। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথমে নেপালের বিপক্ষে খেলা। আপাতত সব ভাবনা নেপালকে নিয়ে। আমাদের কোচরা যেই পরামর্শ দিচ্ছেন আমরা সেটাই মেনে চলছি।’

ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দেয় যুবারা। নেপাল নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। তবে তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে উঠে সুপার সিক্সে। বাংলাদেশের মতো নেপালের সামনেও সেমিফাইনাল যাওয়ার কঠিন সমীকরণ। নিজেদের সতেজ রেখে বাংলাদেশ কেবল ভাবছে পরবর্তী দুই ম্যাচ নিয়ে।

‘দিন শেষে আমাদের দুইটা ম্যাচ আছে। দুটি ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। শেষে কি হয় সেটা তখন দেখা যাবে। যথাসম্ভব চেষ্টা করবো যেই সুযোগগুলো আসবে সেগুলো নিজেদের আয়ত্বে আনার।’- যোগ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।