ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কুমিল্লায় বাড়ছে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ। সয়াবিন তেলের তুলনায় কম কোলস্টেরল এবং সহজেই চাষ উপযোগী হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষে বেশ আগ্রহী কৃষকরা।
এ ফুলের তেল যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, ঠিক তেমনি এর সৌন্দর্য্যও মানুষকে আকৃষ্ট করে। তাই মাঠে আবাদের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতেও চাষ হচ্ছে এই তেলবীজ ফসল।
চাষাবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা এবং ফসল লাভজনক হওয়ায় কুমিল্লায় ৮৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখীর। চলতি মৌসুমে পুনর্বাসন প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে চ্যাম্প ও হাইসান-৩৬ হাইব্রিড জাতের তেলবীজ বিতরণ করা হয়। হাইব্রিড জাতের এ সূর্যমুখী স্বল্পমেয়াদী, খরা ও লবণাক্ত মাটি সহনশীল তেল জাতীয় ফসল। যার কারণে কুমিল্লায় এবার ফলনও বেশ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুমিল্লা নগরীর ঢুলি পাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি বিনোদনকেন্দ্র ফান টাউনের ভেতরে ১২ শতক জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের। এ তেলবীজ ফুল থেকে তেল সংগ্রহ করা হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে এ ফুলের বাগান দেখতে শতশত মানুষ সকালে বিকেলে ভিড় জমাচ্ছেন। এ তেলবীজ ফুল থেকে যেমন তেল সংগ্রহ করা যাবে, তেমনি এর সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে।
ফান টাউনের প্রধান নির্বাহী ইফতেখার হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টি এবং পরপর দুইটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সঠিক সময়ে সূর্যমুখীর বীজ বপনে বাধাগ্রস্ত হই। এতে আমরা ক্ষতির সম্মুখীনও হয়েছি। গত বছর প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলন পেয়েছি। তবে এবার ফুলের পরিমাণ ভালো দেখা গেলেও ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ভোজ্য তেল হিসেবে সয়াবিনের একক আধিপত্যের কাছে প্রায় হার মেনে কৃষকরা বিকল্প তেল উৎপাদনের পথে কিছুটা অগ্রসর হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে আগামীতে ভোজ্য তেল সয়াবিনের ওপর নির্ভরর্শীলতা কমবে।