জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য পাঁচ কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২ জানুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞাপনে বিসিবি স্পিন বোলিং কোচ, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ, পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট, পেস বোলিং কোচ ও ব্যাটিং কোচ হতে আগ্রহীদের আবেদন করতে জানানো হয়।
উন্মুক্ত আবেদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছে বলে দাবি করলেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। প্রায় মাসখানেক পর বিসিবি জানিয়েছে, এখন শর্ট লিস্ট করে কোচদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মার্চে সিরিজের আগেই চূড়ান্ত হবে সব প্রক্রিয়া।
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচদের মেয়াদ বাড়িয়েছিল বিসিবি। এর আগে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল তাদের মেয়াদ। জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর। এছাড়া একটি কমিটিও করা হয়েছে। যেখানের রয়েছেন— বিসিবির দুই পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জালাল ইউনুস এবং প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুরে মুরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন জালাল ইউনুস। বৈঠক শেষে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ইন্টারভিউ (কোচদের) নেওয়া হয়নি। অনেকে আবেদন করেছেন। এখানে আমি আজ বসেছিলাম ডেভিড মুরের সঙ্গে। আমরা একটা কমিটি করেছি। এই কমিটিতে নাঈমুর রহমান দূর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন ও আমি আছি। ডেভিড মুর আছে, সিইও আছে। মুর গতকাল রাতে এসেছে। আজ বসেছিলাম। সবগুলোকে এক সঙ্গে করে শর্ট লিস্ট করা হচ্ছে। যদি কোন মেম্বারদের ফিডব্যাক দিতে হয়, তারা দিচ্ছে। এই কাজগুলো করে ফেলছি। আমরা দুই-তিনদিনের মধ্যে বসব। এরপর হয়তো ভার্চুয়ালি ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু করব।’
‘চেষ্টা করব (শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে)। আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রক্রিয়াটা শেষ করতে চাইব। নতুন কেউ যদি অ্যাপয়েন্টেড হয়, তারা যেন দ্রুত কাজে নামতে পারে সে ব্যবস্থা করব।’ –যোগ করেন জালাল ইউনুস।
গত মেয়াদে নিক পোথাস সহকারী কোচ ও ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তবে সামনে তাকে দেখা যাবে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। এজন্য বিসিবির নতুন করে ব্যাটিং কোচ খুঁজতে হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় কোচদের প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলেছেন জালাল ইউনুস, ‘সবসময় (স্থানীয় কোচরা এগিয়ে থাকবেন), নিশ্চিতভাবেই। আমরা সবসময় প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি স্থানীয় কোচদের। এর মধ্যে দুই-তিনজন অ্যাপ্লাই করেছেন। দেখা যাক কী হয়।’