বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে। তার আগেই ১৬০ একরের ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকে মুসুল্লি মূল মাঠে জায়গা না পেয়ে প্রবেশপথের দুইপাশে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে আবার অবস্থান নিয়েছেন সড়কের পাশে।
মুসুল্লিরা জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা ময়দানে এসেছেন। তবে, বেশিরভাগ মুসুল্লি এসেছেন বুধবার। আজ সকালেও দলে দলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে মুসল্লিরা আসছেন। খিত্তা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সড়কের পাশে, ময়দানে প্রবেশের রাস্তার পাশে; যে যেভাবে পারছেন অবস্থান নিয়েছেন৷
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থেকে আসা মুসুল্লি কামাল পারভেজ বলেন, গতরাতের বৃষ্টিতে মাঠে বিছানো চট ভিজে গেছে। এতে বেশ ভোগান্তি হয়েছে। আবার বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়বে।
মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ হবে। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ নামাজে ইমামতি করবেন।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণয় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মুসুল্লিরা।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে মুসল্লিরা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লির দল মাঠে ঢুকে নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।