ম্যাচে কি ছিলো না? শুরু থেকেই লড়াই, উত্তেজনা, উন্মাদনা, যোগ করা সময়ের রোমাঞ্চ। সব মিলিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দারুণ এক রাত উপহার দিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও উলভস। তাতে সাত গোলের রোমাঞ্চে ৪-৩ ব্যবধানে শেষ হাসি হাসলো এরিক টেন হাগের দল।
ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। পঞ্চম মিনিটে সুযোগ পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন মার্কাস রাশফোর্ড। চাপ ধরে রেখে ২২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড। উলভসের এক ডিফেন্ডার ব্যাক পাস বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। বল তার পায়ে লেগে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক গলে রাসমাস হাজল্যান্ডের পা ছুঁয়ে গোললাইন পেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানইউ প্রতিপক্ষকে গোল উপহার দেয় দ্বিতীয়ার্ধের ৭১তম মিনিটে। সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন পাবলো সারাবিয়া। খানিকবাদেই আবারও ব্যবধান দুই গোলে নিয়ে আসেন স্কট ম্যাকটমিনে।
এরপর উলভস ৮৫তম মিনিটে ফের ব্যবধান কমায়। আর ৯ মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ইউনাইটেডকে স্তব্ধ করে দেন নেতো। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ব্যস, সমতায় ফিরে আসে উলভস।
তবে নাটক তখনো বাকি। ম্যাচ শেষের তখন বাকি আর মিনিট দুয়েক। সহজ জয়ের সম্ভাবনা থেকে ইউনাইটেড শিবিরে তখন পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। সেই সময়ে নিজেকে মেলে ধরলেন মাইনো। ১৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দারুণ নৈপুণ্যে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠালে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।
এই জয়ে ২২ ম্যাচে ১১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ম্যানইউ। তাদের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে ১১ নম্বরে উলভস। সমান ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। সমান ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পার।