যুব বিশ্বকাপে সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তাতে সহজ হয়ে গেছে সেমিফাইনালের সমীকরণ। বাংলাদেশের বোলিং তোপে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তানের যুবারা। সেমিফাইনালের পথ এখন বেশ সহজ। শেষ চারে খেলতে হলে বাংলাদেশকে ৩৮.১ ওভারে (২২৯ বল) করতে হবে ১৫৬ রান।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই শুরুতে ধরে খেললেও আস্তেধীরে চড়াও হয়ে পোঠেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার শামিল হুসেন ও শাহজাইব খান। দুইজনের দারুণ ব্যাটিং যখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনই আঘাত করেন বর্ষণ। ৩১ রান করা শামিলকে ফেরান এই পেসার। এরপর ক্রিজে এসে টিকতে পারেননি আজান আওয়াইসও।
বাকি সময়ে একপ্রান্ত আগলে রাখেন শাহজাইব। তবে অন্যপ্রান্তে তখন উইকেটে যাওয়া-আসার মিছিল। এই মিছিলে একে একে যোগ দিতে থাকেন সাদ বেগ, আহমেদ হাসান, হারুন আরশাদ। সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন শাহজাইবও। আউট হওয়ার আগে ৬৭ বলে করেন ২৬ রান।
এক পর্যায়ে ৮৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আরাফাত মিনহাজ ও আলি আসফান্দ। এই দুজন মিলে দলীয় রান একশর ঘর পার করে দলকে নিরাপদ সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু বেশিদূর নিতে দিলেন না জীবন। ১৯ রান করা আসফান্দকে ফেরান তিনি।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের জুনিয়ররা। বায়েদ শাহ, মোহাম্মদ জিশান ও আলী রাজাদের কেউ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। দলের এমন অবস্থায় একাই মেরে খেলার চেষ্টা করেন মিনহাজ। শেষ উইকেট হিসেবে তাকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন মিনহাজ।
বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন বর্ষণ ও জীবন। দুজনই সমান ৪টি করে উইকেট দখল করেন। বাকি উইকেটটি নেন রাব্বি। আর ম্যাচের মোড় ঘুরানো একমাত্র রান আউটটি করেন আরিফুল ইসলাম।