গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. কাবির মিয়াসহ ৬জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন এ আদেশ দেন। গোপালগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ইউসুফ আলী তাদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার দায়েরকৃত মামলায় ৩২ জন আসামির মধ্যে ২৯ জন অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। এসময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. কাবির মিয়াসহ ৬ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি ২৩ জন আসামিকে জামিন দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি মুকসুদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন এসময় মুকসুদপুর উপজেলার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র কয়েকজন লোক তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে এতে তার হাত ভেঙে যায়। পরে সাইদুর রহমান টুটুল বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়াসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫-৭জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার লোকজন ৩০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান টুটুলের উপর হামলা করে।
হামলাকারীদের সনাক্ত করতে পেরেছেন কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তাধীন মামলার বিষয় কিছু বলা যাবে না। সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীদের পরিচয় জানতে পেরেছেন কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলার কয়েকটা সিসিটিভি অকেজো।