সারা বাংলা

জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রীদের আবাসিক হল, প্রান্তিক গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘ছাত্রলীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস

সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষকদের নয়। আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের মদদদাতাদের ঠাঁই নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয় যে গণরূম কালচার চলে আসছে, এই কালচারে কোনো বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। গড়ে ওঠে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সিস্টেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষকে পরিণত করেছে। গণরুম কালচাল একজন শিক্ষার্থীর মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। তার মানসিকতা বিবৃত করে ধর্ষকে পরিণত করতে সহায়তা করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আমাদের এতদিনের যে ধারণা ছিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে নিরাপদ, তা আর রইল না। আমরা জোর গলায় বলতে চাই, এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের জায়গা নেই। ধর্ষকদের যারা লালন করে সেই কুলাঙ্গারদেরও স্থান নেই। যে সংগঠন, যে শিক্ষক, যে রক্ষক তাদের মদদ দেয়; তাদের অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার (একাংশের) আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকের চেয়ারে বসা কিছু নরাধমের নিকট জিম্মি হয়ে আছে।

আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় পোস্টারিং কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।