ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল জাভিয়ের বার্টলেটের। ওই ম্যাচে ১৭ রানেই ৪ উইকেট নিয়ে ধরাশায়ী করেছিলেন উইন্ডিজকে। কিন্তু পরের ম্যাচেই বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। তিনি না খেললেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি অজিদের।
এক ম্যাচ বিশ্রামের পর আজ মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যানবেরায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পান তিনি। আবারও বল হাতে উঠলেন জ্বলে। এবার মাত্র ২১ রান দিয়ে নেন আরও ৪ উইকেট। তাতে ৩৪.১ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ।
জবাব দিতে নেমে জ্যাক ফ্রাসের-ম্যাকগার্ক ও জশ ইংলিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬.৫ ওভারে ৮৭ রান করে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। যদিও ২টি উইকেট হারায় তারা।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর দুই ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন বার্টলেট।
টার্গেট মাত্র ৮৭। তাইতো শুরু থেকেই ঝড় তুললেন ম্যাকগার্ক ও ইংলিস। তারা দুজন চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে ৪.২ ওভারেই তুলে ফেলেন ৬৭ রান। এরপর অবশ্য আউট হন ম্যাকগার্ক। আলজারি যোসেফের বলে গুদাকেশ মোতির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায়, ২২৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রান করে যান।
ইংলিস অবশ্য দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ১৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২১৮.৭৫। ইংলিসের সঙ্গে ১ চারে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে আউট হন অ্যারোন হার্ডি। ২ রান করেন তিনি। তার উইকেটটি নেন ওশানে থমাস।
তার আগে অস্ট্রেলিয়ার পেস-স্পিনের দ্বিমুখী বোলিং তোপে টস হেরে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ দিশেহারা হয়ে যায়। ৪৪ রানেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। আর ৮৬ রানে যেতেই হয় অলআউট।
ব্যাট হাতে কেবল অ্যালিক অ্যাথানেজ, কেসি কার্টি ও রোস্টন চেজ দুই অঙ্কের কোটায় রান করেন। তার মধ্যে অ্যাথানেজ ৬০ বলে ২ চারে করেন সর্বোচ্চ ৩২ রান। আর চেস ২৬ বলে করেন ১২ রান। ২২ বলে ১০ রান আসে কার্টির ব্যাট থেকে। তাদের দুজনের ইনিংসে কোনো বাউন্ডারির মার ছিল না। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ছিল না কোনো ছক্কার মার।
বল হাতে বার্টলেট ছাড়া ল্যান্স মরিস ৪.৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর অ্যাডাম জাম্পা ৫ ওভারে ১৪ রানে নেন আরও ২টি উইকেট। আগের ম্যাচের নায়ক শন অ্যাবোট নেন ১টি উইকেট।