ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় দিনেই। চতুর্থ দিন সকালে নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি যখন ইনিংস ঘোষণা করলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে তখন জেতার সমীকরণ বেশ কঠিন। জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হতো। কিন্তু পারলো না প্রোটিয়ারা। উল্টো রেকর্ড গড়া ২৮১ রানের জয় নিউ জিল্যান্ডের।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষেই ৫২৮ রানে এগিয়ে গিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। আজ আর ব্যাটিংয়ে না নামায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২৯! এই রান পেরোতে পারলো না খর্বশক্তির প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় নিল ব্রান্ডের দল।
রান তাড়ায় নেমে চার ওভারের মধ্যে বিদায় নেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। প্রথমে ৩ রান করা ব্রান্ডকে ফেরান সাউদি। পরের ওভারেই এডওয়ার্ড মুরকে শূন্য রানে বিদায় করেন ম্যাট হেনরি। এই ধারা বজায় থাকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র ডেভিড বেডিংহ্যামই কেবল ফিফটি করতে পেরেছেন। বাকিদের কারো ইনিংস ৪০ রানের ঘরও পেরোয়নি।
সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন পাঁচে নামা বেডিংহ্যাম। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ব্যাটসম্যানের এটিই ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস। ৯৬ বলের ইনিংসে ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এছাড়া এ ছাড়া ৩০ ছাড়িয়েছেন রেনার্ড ফন টন্ডার, জুবায়ের হামজা ও রুয়ান ডি সোয়ার্ট।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে মিচেল স্যান্টনার পেয়েছেন ৩ উইকেট। তবে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার কাইল জেমিসন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করা রাচিন রবীন্দ্র। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী মঙ্গলবার, ভেন্যু হ্যামিল্টন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর নিউজিল্যান্ড: ৫১১ ও ১৭৯/৪ ( ডিক্লেয়ার) দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬২ ও ৮০ ওভারে ২৪৭ (বেডিংহাম ৮৭, হামজা ৩৬) ফল: নিউজিল্যান্ড ২৮১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রাচিন রবীন্দ্র।