উইকেটের চারিপাশে বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে যেভাবে নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান ব্যাটিং করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ঢাকার রান চূঁড়ায় উঠতে যাচ্ছে। শেষটা কেবল ভালো করলেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে যাবে তারা।
কিন্তু এক ওভারে ফিফটি পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে ঢাকার ব্যাটিং কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। তবুও তাদের রান প্রথমবারের মতো দেড়শ পেরিয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট হওয়ারই কথা।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে ঢাকা। সাইফ হাসান ৪২ বলে ৫৭ রান করেছেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করা নাঈম শেখ ইনিংসটি সাজান ৪৫ বলে। ৯ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৮ বলে ১১৯ রান করেন।
পিঞ্চ হিটার হিসেবে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ঢাকা। খুব একটা ভালো করতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন সাইফ ও নাঈম। শুরুতে একটু সময় নিচ্ছিলেন। থিতু হওয়ার পর প্রতি আক্রমণে গিয়ে দ্রুত রান তোলেন। ৩৪ বলে তাদের জুটি রান পঞ্চাশে পৌঁছায়। ৬৮ বলে পৌঁছায় সেঞ্চুরিতে।
কুমিল্লার অধিনায়ক লিটনের মাথায় তখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে ফর্ডে সেই দুশ্চিন্তা দূর করেন। ছক্কা হজম করে ওভারের শুরু করলেও সাইফ ও নাঈমকে একই ওভারে ফেরান। সাইফ শর্ট বল উড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন। নাঈম হিট আউট হন।এরপর রানের গতি কমে যায়। তবুও চেষ্টা চালান রস ও মেহরাব। ১১ বলে ২১ রান করেন রস। মেহরাব ৮ বলে করেন ১১ রান।
কুমিল্লার সেরা বোলার ফর্ডে ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট পেয়েছেন আলিস ইসলাম। মোস্তাফিজ ছিলেন বিবর্ণ। ২ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান।
কুমিল্লাকে প্রথম দেখায় ঢাকা হারিয়েছিল বোলারদের নৈপুণ্যে। হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ডিফেন্ড করার মতো পুঁজি পেয়েছেন তারা। তাসকিন-শরিফুলরা আরেকবার দলকে হাসাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।