এমন ম্যাচের জন্যেই এখনো দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ওয়ানডে ক্রিকেট। একদিনের ম্যাচ যে কতোটা উত্তেজনা ছড়াতে পারে সেটা আরেকবার দেখালো শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। শেষ হাসিটা অবশ্য হেসেছে শ্রীলঙ্কা। ৭২০ রানের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল কুশল মেন্ডিসের দল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাথুম নিশাঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮১ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে একশ’র আগে পাঁচ উইকেট হারানো আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়ালেও আর জিততে পারেনি। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রানেই থেমেছে তাদের ইনিংস।
লক্ষ্য প্রায় চারশ’র কাছাকাছি। রান তাড়ায় নেমে পঞ্চাশ পেরিয়েই পাঁচ উইকেট নেই আফগানিস্তানের। শ্রীলঙ্কার দুই পেসার প্রমোদ মাদুশান ও দুশমন্থ চামিরার আঘাতে শুরুতেই ফিরে যান গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, হাশমাতউল্লাহ শাহিদি ও রহমত শাহ। এরপরই লড়াই শুরু আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবীর। দুজন মিলে গড়েন ২২২ বলে ২৪২ রানের জুটি।
এই জুটি ওয়ানডে ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। শীর্ষে আছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডানেডিনে অপরাজিত ২৬৭ রান করা নিউ জিল্যান্ডের লুন রনকি ও গ্র্যান্ট এলিয়টের জুটি।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৩০ বলে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩৬ রান করেন নবী। প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে ওমরজাই অপরাজিত থাকেন ১৪৯ রানে। ১১৫ বলের ইনিংসটি ১৩ চার ও ৬টি ছক্কায় সাজান এই অলরাউন্ডার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৮২ রান তোলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। নিশাঙ্কা ফিফটি করেন ৩১ বলে। আভিষ্কা ফিফটির দেখা পান ৫৫ বলে। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮৮ রানে ফিরতে হয়ে আভিষ্কাকে। তিনে নেমে দ্রুত ফিরে যান কুশল মেন্ডিসও (৩১ বলে ১৬)।
এরপর তৃতীয় উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৭১ বলে ১২০ রানের জুটি গড়ার পথে ৮৮ বলে চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পান নিশাঙ্কা। এরপর বাকি গল্পটা কেবল তার। দেড়শ স্পর্শ করেন ১১৬ বলে। এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে পৌছে যান ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ৩৮১/৩ (নিশাঙ্কা ২১০*, আভিশকা ৮৮) আফগানিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৩৯/৬ (ওমরজাই ১৪৯*, নবী ১৩৬) ফল: শ্রীলঙ্কা ৪২ রানে জয়ী সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা ম্যান অব দা ম্যাচ: পাথুম নিসানকা