বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৪ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে একজন বিদেশি রয়েছেন। যিনি বাংলাদেশের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে।
বিদেশি ওই মেহমানের বাড়ি শ্রীলঙ্কায়। তার নাম রাসেদ। তিনি বাংলাদেশের মেয়ে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেছেন।
বিষয়টি জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ ময়দানে মাশোয়ারার কামরায় যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শত তোলা রূপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।
১৪ দম্পত্তিরা হলেন, ১. হোমায়ার ইসলাম ও হুরাইরা জামান, ২. মো. আলাউদ্দিন ও সুমাইয়া ইসলাম, ৩. মো. হাবিবুর রহমান ও মুক্তা আক্তার, ৪. মো. ওমর ও ইশরাত জাহান, ৫. সুজন আহমেদ ও মায়মুনা আক্তার, ৬. রাতুল ও মায়মুনা আক্তার, ৭. রাসেদ (শ্রীলঙ্কার মেহমান, বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের মেয়ে) ও শারমিন আক্তার, ৮. ওমায়ের ইসলাম ও মুনিম আক্তার, ৯. মো. শাওন ও ছবিনা আক্তার, ১০. মো. মছুরুল হক ও শাদিয়া মাহমুদ, ১১. ফজলে রাব্বি ও মোহনা সুলতানা, ১২. মো. ছাব্বির হাসান মোছাম্মদ ও হালিমা আক্তার, ১৩. মো. ইজমাইন ও ফাতেমা আক্তার এবং ১৪. মো. আজম খান ও সুমাইয়া ইসলাম।
এর আগে ইজতেমার প্রথম পর্বে ৩ ফেব্রুয়ারিতে ৭২ দম্পতির যৌতুক বিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আয়োজকরা জানান, কনের সম্মতিতে দুপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এ সব বিয়ে। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। এ সময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছিটিয়ে দেওয়া হয়।