অমর একুশে বইমেলার (২০২৪) মাসব্যাপী আয়োজনে প্রতিদিন নতুন নতুন বই আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মেলার ১১তম দিনে এসেছে ৯২টি নতুন বই। এ পর্যন্ত মোট বই প্রকাশিত হয়েছে ৯১৫টি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
বইমেলার ১১তম দিনে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: কলিম শরাফী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরওয়ার মুর্শেদ।
প্রাবন্ধিক সারওয়ার মুর্শেদ বলেন, কলিম শরাফীর যাপিতজীবন ও সংগ্রামের মূলে ছিল গণ-মানবচেতনা, মুক্তবুদ্ধি। তিনি ছিলেন মানুষের সামষ্টিক কল্যাণপ্রত্যাশী।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন মাহমুদ সেলিম এবং গোলাম কুদ্দুছ। তারা বলেন, আজীবন সংগ্রামী শিল্পী কলিম শরাফী ছিলেন আপসহীন একজন মানুষ। দেশ ও জাতির সংকটে সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে তিনি প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রচণ্ড বৈরিতা সত্ত্বেও গণমানুষের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা, মানবতাবাদী সংস্কৃতিবোধ, কল্যাণমুখী, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তিনি কখনো ত্যাগ করেননি। সমাজ-সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রেই তিনি তার সৃজনশীল প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন। মানবতাবাদী কলিম শরাফী বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই তার জীবনের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব কলিম শরাফী তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি।
অন্যদিকে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সরকার মাসুদ, কথাসাহিত্যিক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন এবং নাট্যগবেষক মাহফুজা হিলালী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন-কবি আসলাম সানী, তপন বাগচী, মারুফ রায়হান, জাহিদ মুস্তাফা, স্নিগ্ধা বাউল এবং শাহিদা পারভীন রেখা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন-আবৃত্তিশিল্পী সোহরাব হোসেন, তামান্না তিথি এবং ফয়জুল আলম পাপ্পু। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠ করেন লাল মাহমুদ।