২০১৬ সালের জুনের পর জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল পরিবর্তন করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন করে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন দুজন। তবে চুক্তি শেষে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে প্রধান নির্বাচক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি বিসিবির সাবেক পরিচালক, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রধান নির্বাচক হিসেবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে নিয়োগ দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া যুব দলে লম্বা সময় ধরে কাজ করা হান্নান সরকার প্রমোশন পেয়েছেন। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর সঙ্গে হান্নান সরকারও এসেছেন নির্বাচক প্যানেলে। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আট মাস পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এরপর জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিলম্বিত হয় পরিচালনা পরিষদের সভা। সেই বিলম্ব দীর্ঘায়িত হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায়।
নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে আমরা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু উনাকে নিয়োগ দিয়েছি। উনাকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে আরও দুজন আছে। একজন আব্দুর রাজ্জাক। আরেকজন হান্নান সরকার।’
‘যে কয়টা নাম এসেছে আমাদের কাছে তাদের মধ্যে উনার নাম দেখার পর মনে হয় উনি যদি আসতে রাজী হন তাহলে হি ইজ দ্য বেস্ট। কাজেই এটা নিয়ে খুব একটা বিতর্ক হয়নি। যখন নিশ্চিত হলাম উনি আসতে চান তখন এক বাক্যে সবাই একমত হয়েছি উনাকেই আমরা নির্বাচক হিসেবে চাই।’ –যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
কতদিনের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলেননি বোর্ড প্রধান। তবে সচরাচর বোর্ডের নিয়োগ দুই বছরের জন্যই হয়। তাদেরকেও দুই বছর সময় দেওয়া হবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালের জুনে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে প্রধান নির্বাচক করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় হাবিবুল বাশার সুমনও সাজ্জাদ হোসেন শিপনকে। হাবিবুল বাশার তখন নারী দলের নির্বাচক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাজ্জাদ হোসেন শিপন ছিলেন যুব দলের নির্বাচক। দুজনকে সরিয়ে জাতীয় দলে যুক্ত করা হয়। দুই বছর পর শিপন দায়িত্ব ছাড়লে মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার কাজ চালিয়ে যান। লম্বা সময় তারা দুজনই কাজ করে যাচ্ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক অবসর নেওয়ার পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাকে তৃতীয় সদস্য হিসেবে নির্বাচক কমিটিতে যুক্ত করা হয়। আব্দুর রাজ্জাক টিকে গেলেও মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশারের সঙ্গে চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। তবে তাদেরকে বোর্ডের সঙ্গে অনান্য কর্মকাণ্ডে যুক্ত রাখার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাদের অবদানের জন্য বোর্ড প্রশংসা করেছে। আমরা এক বাক্যে সবাই স্বীকার করেছি, তাদের অবদানে আমরা সবাই খুশি। কিন্তু আমরা তাদেরকে হারাতেও চাই না। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা তাদেরকে বোর্ডের সুইটেবল পজিশনে রাখবো।’