ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের লেকচার থিয়েটারে ‘একাডেমি লেকচার’ প্রদান করেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের নবীনতম নির্বাচিত ফেলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো নির্বাচিত হওয়ার পর ফেলোরা প্রথাগতভাবে এই লেকচারটি প্রদান করে থাকেন।
অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল তার লেকচারে ন্যাসভ্যাক উদ্ভাবন ও ন্যাসভ্যাক সংক্রান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর ফলাফল এবং ফেইজ-থ্রি ট্রায়ালের অংশগ্রহনকারী রোগীদের দীর্ঘ মেয়াদী ফলোআপ বিষয়ে তার প্রকাশনাগুলো উপস্থপন করেন।
এছাড়া তিনি তার লেকচারে লিভার রোগের চিকিৎসায় হার্বাল মেডিসিনের প্রয়োগ সংক্রান্ত তার সাম্প্রতিক গবেষনা এবং পাশাপাশি লিভার সিরোসিস রোগীদের চিকিৎসায় অটোলোগাস হেমোপয়েটিক স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বা স্টেম সেল থেরাপি এবং ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রা-হেপাটিক পোটোসিস্টেমিক শান্ট বা টিপস আর লিভার ক্যানসার চিকিৎসায় ট্রান্স-আর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশন বা টেইস এর মতো আধুনিকতম চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর এদেশে প্রচলন এবং তারপর এসব চিকিৎসায় তার অভিজ্ঞতার কথা উপস্থাপন করেন।
এটি ছিল অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের দেশে-বিদেশে ৫৭৫তম বৈজ্ঞানিক লেকচার এবং তার ভাষায় এখন পর্যন্ত তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল তার এই লেকচারে তার জীবনে চলার পথে অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রয়াত পিতা ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, প্রয়াত মা মিসেস আয়শা মাহতাব, তার সহধর্মীনী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, কন্যা মুসাররাত মাহতাব, পুত্র মাশরুর মাহতাব, শ্বাশুরী শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন।
তিনি তার এই লেকচারটি ‘রিসার্চ গুরু’ ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবরকে উৎসর্গ করেন।
উল্লেখ্য, এই লেকচারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরিটাস অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ।
বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জহুরুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. ইয়ারুল কবির। লেকচারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিডিডিআর’বিসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।