ভালোবেসে নির্মাতা কিরণ রাওয়ের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২১ সালে ১৫ বছরের সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন এই দম্পতি। বিচ্ছেদের পর বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কথা বলতে দেখা যায়নি প্রাক্তন এই দম্পতিকে।
সম্প্রতি এফএম কানাডা-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিরণ রাও। এ আলাপচারিতায় তিনি জানান, এখনো একই ভবনে বসবাস করেন আমির-কিরণ। পাশাপাশি আমির ও তার পরিবারের সঙ্গে কিরণের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আমির-কিরণের মাঝে শক্তিশালী সৃজনশীল বন্ধন রয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে কিরণ রাও বলেন, ‘এটি (বিচ্ছেদ) আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিকভাবে এসেছে। কারণ আমাদের শুরুটা হয়েছে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। এরপর আমরা পার্টনার হয়েছি এবং এখনো একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পরস্পরকে এমনভাবে বুঝতে পারি, যা বৈবাহিক সম্পর্কেরও বাইরে। সৃষ্টিশীল জায়গা থেকে আমরা খুব কাছাকাছি। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতামত একই।’
‘আমাদের মাঝে খুবই পারিবারিক ও সৎ সম্পর্ক। এটা এমন যে, সেটাকে মুছতে পারবেন না। এটি আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আমাদের মাঝে কখনো তিক্ততা বা বড় কোনো ঝগড়া হয়নি। আমরা শুধু আমাদের সম্পর্ককে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে চেয়েছিলাম। আমরা একটি পরিবারে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিবাহিত না। সুতরাং আমরা নিজেরা একটি নিয়ম তৈরি করেছি। আমি মনে করি না, সম্পর্ককে সামাজিক ট্যাগ দেওয়া যেতে পারে। তালাকপ্রাপ্ত দুজন ব্যক্তি একসঙ্গে কাজ করতে চায়, একই ভবনে বসবাস করে, মাঝে মধ্যে একসঙ্গে খাবার খায়— এসব ব্যাপার মানুষের কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। বিচ্ছেদের পর যদি আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যেত, তবে আমি খুশি হতাম না।’ বলেন কিরণ।
বিবাহবিচ্ছেদ হলেও এখনো আমির-কিরণ একই পরিবার। এ বিষয়ে কিরণ রাও বলেন, ‘আমরা একই হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করি। আমার উপরের তলায় থাকেন আমার শাশুড়ি, আমার সামনের ফ্ল্যাটে থাকেন আমিরের কাজিন রীনা-নুজহাত। আমি তাদের সঙ্গে ঘুরতে যাই, এমনকী আমিরের সঙ্গেও। আমার ও আমিরের তিক্ত কোনো ডিভোর্স হয়নি। দম্পতি হিসেবে আমরা আলাদা হয়েছি। কিন্তু আমরা একটি পরিবার।’
২০০২ সালে প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আমির খানের। রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ দম্পতির আজাদ নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া