ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা কেভিন ডি ব্রুইন। মাঠে ফিরেও নিজের চেনা ফর্মে আছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। তার সঙ্গে জ্বলে উঠেছেন বাকিরাও। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রথমে ডি ব্রুইনের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। এরপর মেগনাস মেটসন সমতা সিরিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফের ব্যবধান বাড়ান বার্নার্দো সিলভা। আর যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান ফিল ফোডেন। তাতেই স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সিটি। জ্যাক গ্রিলিশের ফ্রি কিক ভালো জায়গায় পেয়েছিলেন ডি ব্রুইন। তবে তার হেড জাল খুঁজে পায়নি। সপ্তম মিনিটে রুবেন দিয়াজের হেড ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন কোপেনহেগেন গোলরক্ষক গ্রাবারা। ফিরতি বলে সুযোগ হারান নাথান আকে।
আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ম্যাচের একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। ফোডেনের বাড়ানো বলে ডি বক্সে অরক্ষিত ডে ব্রুইন দারুণ ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন। গোল খেয়েও শোধের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে কোপেনহেগেন। তাতে ৩৪ মিনিটে সমতায় ফেরায় তারা।
অবশ্য কোপেনহেগেনের গোলের পেছনে সবচেয়ে বড় দায় সিটি গোলরক্ষক এডারসনের। ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার মোহামেদ এলিয়োনোসির পায়ে। তার শট দিয়াস ব্লক করলে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে যান মেটসন। বাকি কাজ অনায়াসে সারেন ডেনিস মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধ যখন সমতায় শেষ হবে ভাবা হচ্ছিলো, ঠিক তখন যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সিলভার অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ফের এগিয়ে যায় সিটি। প্রতিপক্ষণের রক্ষণে ডি ব্রুইন বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে মেটসন বল পেয়ে যান। তিনি পাস বাড়ান ডি বক্সে। দ্রুত গতিতে দৌড় দিয়ে পা একটু বাঁকিয়ে দিক পাল্টে দিয়ে জাল খুঁজে নেন সিলভা।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায় সিটি। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। শেষদিকে গিয়ে সেই আক্ষেপ মেটান সিলভা। এই গোলের পেছনেও অবদান ব্রুইনের। বেলজিয়ান তারকার কাছ থেকে বল পেয়ে গ্রাবারাকে পরাস্ত করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
এই জয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়েই দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে সিটি। ফিরতি পর্ব হবে ৫ মার্চ, সিটির মাঠে।