আটাবকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে ফরিদ আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আটাব সম্মিলিত ফোরামকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কর্তমান হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ফোরামের প্যানেল পরিচিত সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আটাবের শীর্ষ নেতৃত্ব সদস্যদের কল্যাণ বাদ দিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরাই বিভক্ত। একে অপরের দোষারুপে বিবাদে লিপ্ত। যখন নিজেরাই অর্থ লোপাটের কথা স্বীকার করে তখন আমরা লজ্জিত হই। আজ আটাবকে কোথায় নিয়ে গেছে তারা। সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। দুর্নীতিতে ভেঙে পড়েছে আটাব। এই অবস্থায় আটাবকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে সৎ ও সদস্যবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ফরজ। আর সেটা সম্ভব একমাত্র ফরিদ আহমেদ এর নেতৃত্বাধীন প্যানেল।
তিনি বলেন, এক সময় এজেন্সি মালিকানা, লাইসেন্স হস্তান্তর করতে পারতেন না, কিন্তু আমরা সেটা পরিবর্তনের ব্যবস্থা করেছি। সামান্য অপরাধে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যেতো। লঘু অপরাধে গুরু দণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল একসময়, কিন্তু আমরা আইন সংশোধন করে অপরাধের ধরন অনুযায়ী দণ্ড নিশ্চিত করেছি। সেটা কিভাবে পেরেছি সৎ থাকার কারণে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব না হলে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়।
আটাবের দুর্নীতমুক্ত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা না হলে খুব শিগগির আটাব সদস্যদের ব্যবসা ছেড়ে পথে বসতে হবে বলেও জানান হাব প্রেসিডেন্ট তসলিম।
ভোটারদের তিনি বলেন, আপনাদের ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স থাকবে কিন্তু টিকিট বিকি করতে পারবেন না। আপনি দালাল হবেন। আপনিও বিক্রি করবেন তখন আপনার সম্মান কোথায় যাবে। আপনারা বিনিয়োগ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে টিকিট বিক্রি করে ৭ শতাংশ কমিশন পাবেন, আর এটা নিয়ে যাবে দ্বিগুণ। এটা কি হতে পারে। আটাবের সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে আপনাদের চলে যেতে হবে। তাই নিজেদের স্বার্থে ফরিদ মজুমদারের প্যানেলকে ভোট দিতে হবে।
প্যানেল পরিচিত সভায় সম্মিলিত ফোরামের প্যানেল প্রধান ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, আটাবের বর্তমান নেতৃত্ব দুর্নীতি করেছে বলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একে অপরের কাদাছোড়াছুড়ি করছে। আমি কথা দিচ্ছি, নিজে অন্যায় করবো না, দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতে দেবো না। আটাবে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, আটাব নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে আমরা ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা কঠিন পরিস্থিতি পার করছি। ব্যবসা বন্ধের পথে। নির্বাচিত হলে সকলে যাতে কমিশন সমান পায় সে ব্যবস্থা করবো।
আটাব সরকারের নিকট ব্ল্যাক লিস্টেড আছে দাবি করে ফরিদ মজুমদার বলেন, তারাই স্বীকার করেছেন তারা সরকারে নিষিদ্ধ। যারা সরকারে ব্ল্যাক লিস্টেড তারা সদস্যদের জন্য কিভাবে কাজ আদায় করবে। আমরা নির্বাচিত হলে সেটা আর থাকবে না। তিনি সদস্যদের জন্য গ্রুপ ইন্সুরেন্স করার প্রতিশ্রুতিও দেন।
পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আব্দুশ শাকুর, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড, মোহাম্মদ ফারুক, আটাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবুল খায়ের, হাবের সিনিয়র সহ সভাপতি এয়াকুব আলী শরাফতি, সহসভাপতি মাওলানা ফজুলুর রহমান প্রমুখ।
পরিচিত সভায় সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ভোটার ও প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।