পাখি তাড়াতে ফাঁদের বদলে খেতের চারপাশে রং বেরঙের পলিথিন টাঙিয়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। বাতাসে পলিথিনের শো শো শব্দেই উড়ে যাচ্ছে পাখিরা। ফলে পাখির কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে জমিতে রোপণ করা সূর্যমুখীর বীজ। উপকৃত হচ্ছেন শত শত কৃষক।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের ইউনিয়নের বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ। চলছে বীজ রোপণের কাজ। জমিতে বারবার বীজ রোপণ করেও রাখতে পারছিলেন না কৃষকরা। শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ঝাঁক ধরে এসে বীজ খেয়ে সাবার করছিল কৃষকের খেত। পাখির কবল থেকে বীজ রক্ষায় কৃষকরা ফাঁদের পরিবর্তে জমির বিভিন্ন স্থানে লাঠি পুঁতে টাঙিয়ে দিচ্ছেন ছোট বড় রং বেরঙের পলিথিন। বাতাসে পলিথিনের শব্দেই উড়ে যাচ্ছে পাখি। শুধু পলিথিনই নয়, পুরাতন ক্যাসেটের ফিতা ও প্লাটিকের বস্তাসহ অনেক স্থানে বসানো হচ্ছে কাকতাড়ুয়া। শত শত কৃষক এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনে পাচ্ছেন সুফল।
মহিপুরের ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মনির মিয়া বলেন, আমি ৯০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। দুই বার বীজ রোপণের পরও তা খেতে রাখতে পারিনি পাখিদের অত্যাচারে। ঝাঁক ধরে আসা পাখিরা সব নষ্ট করে দিয়েছে। এখন তৃতীয়বারের মতো বীজ রোপণ করেছি। খেতের সব যায়গায় পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছি। এখন খেতে আর পাখি বসছে না।
একই এলাকার অপর কৃষক তৃষ্ণা রানী বলেন, আমরা পলিথিন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতান না। যার কারণে দুই তিন বার করে বীজ রোপণ করতে হয়েছে। ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।এ বছর আমাদের এলাকার সবাই বীজ রোপণের পরই খেতের চারপাশে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছি। এবছর পাখি বীজ নষ্ট করতে পারেনি।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছিলো। এবছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। দিন দিন বাড়ছে ফসলটির আবাদ। সূর্যমুখীর বীজ রক্ষায় কৃষকদের এই অভিনব পদ্ধতি আমরা সব কৃষকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।