সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কয়েকদিন আগে ইস্তফাপত্র জমা দেন যাদবপুরের এই সংসদ সদস্য। যদিও তা এখনো গ্রহণ করেননি বিধানসভার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউজ১৮ এ খবর প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে বৈঠক করেন মিমি। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দেন মিমি। পাশাপাশি জানান, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না তিনি। তা ছাড়া বেশ কিছু অভিযোগ করেন তিনি।
ইস্তফা পত্রের বিষয়ে মিমি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি দুই দিন আগে আমার সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু উনি এখনো সেটা গ্রহণ করেননি। আমার যে অভিযোগ, তা দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি।’
মিমি মনে করেন রাজনীতি তার জন্য নয়। তার ভাষায়— ‘রাজনীতি আমার জন্য না, এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম, তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন, অন্য দলকে নিয়েও কখনো খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে? আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সংসদ সদস্য তো দিল্লিতেই থাকেন, আবার কলকাতায় থাকলে বলা হয় আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তা হলে সংসদ সদস্য হয়ে লাভ কী হলো। আমি আজ কাজ গোনাতে আসিনি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নাম্বার ওয়ান আছে তা দেখে নিন।’
ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার একদিন পরই গত পাঁচ বছরে সরকারি অর্থ ব্যয়ের হিসাব দিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক পোস্টে অর্থ খরচের তালিকা পোস্ট করেন তিনি।
এ পোস্টে মিমি চক্রবর্তী লেখেন, ‘আমি মিমি চক্রবর্তী। আমার জীবনঅধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগত থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু গত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সংসদ সদস্য রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গিয়েছি, সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে গত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’
‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।’ লেখেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য মিমি।