লক্ষ্য অবশ্য খুব বড় ছিল না। ডাম্বুলায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৬১ রান করলেই জিতে যেত আফগানিস্তান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান। এ সময় ৫৫ বল মোকাবিলা করে ৮ চারে ৬৭ রান করেন। তাতে আফগানিস্তান ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান পর্যন্ত করতে পারে। আর শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে যায় ৪ রানে।
শেষ ওভারে জেতার জন্য আফগানিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। বিনুরা ফার্নান্দোর প্রথম চার বলে ইব্রাহিম কোনো রানই নিতে পারেননি। শেষ দুই বলে ৬ রান নিয়ে ম্যাচ হেরে যান। ইব্রাহিম ছাড়া আর কেউ অবশ্য সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। করিম জানাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ২ চারে। এর বাইরে গুলবাদিন নাইব ২ চারে ১৬ ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৩ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
বল হাতে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামান মাথিশা পাথিরানা। তিনি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরাও হন তিনি। দাসুন শানাকা ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি স্বাগতিকরা। আফগানিস্তানের বোলারদের তোপের মুখে ১৯ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একমাত্র ফিফটি করেন। তিনি ৩২ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩ চারে ২৫ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৪ রান। এছাড়া কুসল মেন্ডিস করেন ১ ছক্কায় ১০ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন নাভিন-উল-হক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।