প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪ এর ফাঁকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের এবং গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জার্মানির মিউনিখে হোটেল বেইরিশার হফে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যুদ্ধ অবসানের, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জার্মানির চ্যান্সেলরের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
‘যুদ্ধের মাধ্যমে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না’ বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জার্মানির চ্যান্সেলর একমত পোষণ করেন।
জার্মানির চ্যান্সেলরকে উদ্ধৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র প্রক্রিয়া হলো যুদ্ধ বন্ধ করা।’
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলরকে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জার্মানির অবদানের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশের পাশাপাশি জার্মানি বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানিকারক দেশ। জার্মানিতে আরও বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির বিষয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। তারা জার্মানিতে দক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি পাঠানোর বিষয়েও কথা বলেন।
দীর্ঘদিন পর অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওলাফ শলৎজ আবারও শেখ হাসিনাকে পঞ্চম ও টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
এর আগে সকালে জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।