১০ ওভারে ফরচুন বরিশালের রান ১ উইকেটে ১০০। পরের ১০ ওভারে রান হলো ৫১! উইকেট গেল ৮টি। ক্রিকেটে সবই সম্ভব। কিন্তু এমন নাটকীয় মোড় আসলেও চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা যা করলেন তা রীতিমত অকল্পনীয়।
ম্যাচের এমন নাটকীয় রূপ পরিবর্তনের পেছনের কারিগর রংপুর রাইডার্সের পেসার আবু হায়দার রনি। বাঁহাতি পেসার মাত্র ১৩ বলে ৫ উইকেট নিয়ে এলোমেলো করে দেন বরিশালের ব্যাটিং অর্ডার। ১৩তম ওভারে প্রথম বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও কাইল মায়ার্সকে ফেরান রনি। পরের ওভারে তার শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে রনি প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফাইফারের স্বাদ পান। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বরিশালকে স্রেফ উড়িয়ে দেন এই পেসার।
অথচ শুরুতে তামিমের ২০ বলে ৩৩ এবং পরে মায়ার্সের ২৭ বলে ৪৬ রানে মনে হচ্ছিল বরিশালের রান চূঁড়ায় যাবে। প্রথম ১০ ওভারে প্রথমবারের মতো ১০০ রান আসায় বিশ্বাস ডানাপালা মেলেছিল। কিন্তু রনির দুর্দান্ত এক স্পেল চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে সকলকে। তামিম ৩৩ রান করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। শুরু থেকে রান পাওয়ায় মনে হচ্ছিল তার ব্যাটে আজ বড় কিছু আসবে।
কিন্তু বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন সাকিবের বলে আলগা শট খেলে। সেখান থেকে টম ব্যাটনস ও মায়ার্স ওভারপ্রতি ১০ করে রান তুলে ১০ ওভারে ১০০ রান তুলে নেয়। রংপুরের বোলিংয়ে তেমন প্রাণ ছিল না। কিন্তু নিশাম ব্যাটননকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলে ও রনি ক্রিজে আসলে সব হিসেবে নিকেশ পাল্টে যায়। বাঁহাতি পেসারের মুগ্ধতা ছড়ানো এক স্পেলে সব কিছুই যেন কল্পনা মনে হচ্ছিল। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশালের পুঁজিতে রান মাত্র ১৫১। সাকিবদের হারাতে এই রান কি যথেষ্ট?