বাসনা বিষয়ে কখনো তারার নিচে শীত চলে এলে জানালার শার্সিগুলো হিম হয়ে যায়, জাহাজডুবির মতো টুপ করে যেন হিম মখমল গায়ে সন্ধ্যা নেমে আসে— আলো আর উড়ালের মাঝখানে জমে কেবলই ঘন এক অলস হাওয়া। ছায়ার মোচড় খুলে তবুও যখন তারাদের নিচে যাই, রাত্রি ধরে আসে। নীল আঙুরের মতো ছোটো নক্ষত্রেরা অন্য কোনো রোদ হয়ে আলো বদলায়; আর নরম পাখির বাসনাসমূহে বিকট সমুদ্রফেনা ফিরে আসে ফের।
বাসনারা যেন কিছু উড়ে আসা পাতা— রাত্রির ভেতর হিম, সযত্ন চমক।
তুমি কুসুমিত হলে তোমাকে ভাবছি শুধু গাছ থেকে ঝরে পড়া এই হিম-দিনে নীরব মাকড়সার মতো বুনে গেছো যেন শীত পরিপূর্ণ, যখন তোমার ঘুম বাকলের গন্ধ নিয়ে শব্দহীন নড়ে সন্ধ্যাকালে সকল তারকা হটাৎ ফেটে পড়ে আগুনসমেত— রাত দেখি জানালায়—বিড়ালের গায়ে হলুদাভ কণ্ঠস্বর কুসুমিত রাত্রির শরীরে রহস্য রেখেছে অন্তহীন যেন, রাস্তার গরম দেহ, গভীর কুয়াশা খুলে স্পষ্ট হয়ে গেলে নির্ভার মগজে তোমার শ্বাসের শব্দ ঢুকে পড়ে ধীরে।