বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ও জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও হতে পারে করোনার নতুন ধরন জেএন.১।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাসের সবশেষ জেনোমসিকোয়েন্সিংয়ের (ধরন) ওপর গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ সময় তিনি এসব তথ্য জানান।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমে আসলেও করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। এই সময়ে আমরা করোনার অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিভিন্ন সাব-ভ্যারিয়েন্ট পেয়ে আসছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বছরের শুরুতে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ এর কথা জানায়। এর ভিত্তিতে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রাপ্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর স্যাম্পল নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। আমাদের গবেষণায় আমরা মোট তিন জন রোগীর দেহে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গগুলো অন্যান্য ধরনের মতোই। রোগীদের উপসর্গ মৃদু হলেও জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং হালকা দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব জানার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের কারও দেশের বাইরে থেকে আসার ইতিহাসও নেই।
বিএসএমএমইউর পর্যবেক্ষণে আরও উঠে আসে নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত রোগীর লক্ষণগুলোর তীব্রতা কম। সব জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত রোগীর কমপক্ষে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া ছিল। তৃতীয়বারের মত আক্রান্ত হয়েছে এরকম রোগীরও শরীরে পাওয়া গেছে।