গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে তিনটি বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এসময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সোহেল মিয়া। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার এমসি বাজার, নয়নপুর বাজার ও জৈনা বাজারে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সোহেল মিয়া বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর অংশের তিনটি অবৈধ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাকি অংশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে উপজেলা প্রশাসন ও সওজ। দু’টি বুলডোজার, কয়েকটি ট্রাক ও শতাধিক জনবল নিয়ে শুরু করা হয় এই উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদের খবর পেয়ে অনেক দোকানি দৌড়াদৌড়ি করে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আবার কোনো কোনো দোকানি অভিযানের খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। বন্ধ থাকা দোকানপাটগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া অনেক স্থায়ী স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমসি বাজারে উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে নয়নপুর ও জৈনা বাজারের বেশিরভাগ দোকানি তাড়াহুড়ো করে মালপত্র সরিয়ে নেন। অনেক দোকানি মালামাল সরিয়ে দিয়ে ঢেউটিন বাঁশ কাঠ চৌকি মালামাল রাখেন সড়ক বিভাজকের ওপর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে নয়নপুর, এমসি ও জৈনা বাজার নামে তিনটি বড় বাজার। এসব বাজারে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানপাট। দুপুরের পর থেকে বাজারের অংশে মহাসড়কের লেন দখল করে চলে কেনাবেচা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কের হাজারো যাত্রী। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এই উচ্ছেদ অভিযানে নামেন সংশ্লিষ্টরা।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন বলেন, সকাল থেকে শতাধিক জনবল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী, পল্লী বিদ্যুতের সদস্য, সওজের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ তিনটি বাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে মহাসড়কের পাশে কোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।