নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালামের আগমন উপলক্ষে মহিষের ২০ মণ দুধের পায়েস রান্না করে বিতরণ করা হয়েছে। গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ সদস্য আবুল কালাম প্রথমবারের মতো তিলকপুর গ্রামে আসেন। তার আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমী এ ভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রথমে খামারিদের কাছ থেকে মহিষের ২০ মণ দুধ সংগ্রহ করেন তারা। পরে দুধ ও আতপ চাল দিয়ে পায়েস রান্নার আয়োজন করা হয়। ১০ জন বাবুর্চি ছিলেন রান্নার দায়িত্বে। গ্রামের ছয় শতাধিক বাসিন্দার মধ্যে পায়েস বিতরণ করা হয়।
সংসদ সদস্য আবুল কালাম পায়েস বিতরণের উদ্বোধন করেন। পরে তিনিও গ্রামবাসীর সঙ্গে বসে পায়েস খান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ঝালমুখ করারও ব্যবস্থা ছিল। পায়েস খাওয়া শেষে সবার মধ্যে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।
পুরোনো ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, এর আগেও নাটোর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আবুল কালাম।
‘সেসময় তিনি আমাদের এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। এবার আবার নির্বাচিত হয়ে এই গ্রামে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাই গ্রামবাসী তাকে ভিন্নভাবে অভ্যর্থনা জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।’ - যোগ করেন তিনি।
সেলিম রেজা আরও বলেন, তিলকপুর গ্রামে অনেকগুলো মহিষের খামার রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়, সংসদ সদস্যের আগমন উপলক্ষে মহিষের দুধ দিয়ে পায়েস রান্না করা হবে। তিনিও (সংসদ সদস্য) এই আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, তিলকপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার। আর্থিকভাবে তারা দুর্বল। কিন্তু আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার কমতি নেই। যখনই ওই গ্রামে গিয়েছি, তখনই দলমত-নির্বিশেষে সবাই আমাকে ঘিরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
‘এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহিষের ২০ মণ দুধের পায়েস রান্না করা হয়েছে। গ্রামের সবাই আমার সঙ্গে বসে এই পায়েস খেয়েছেন। এ উপলক্ষে গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। আমি গ্রামবাসীর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম।’ - যোগ করেন তিনি।