রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সরকারি শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একযোগে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-২ এর ৪টি দল পৃথকভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করে।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) ওই ৪টি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ৩৬ জন দালালকে আটক করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাজমুল্লাহিল ওয়াদুদ গণমাধ্যমকে জানান, দালালরা সরকারি হাসপাতাল থেকে তাদের কমিশনভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ১৭ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ১২, আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ৩ জন ও শিশু হাসপাতাল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়।
মেজর ওয়াদুদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগী আসামাত্রই দালালরা রোগীর পিছু নিয়ে রোগীদের বিভ্রান্তি করেন। তারা রোগী ও রোগীর স্বজনদের বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো না। এখানে চিকিৎসক এখনো আসেননি। এখানে বেড খালি নেই। বাইরের হাসপাতালে গেলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে, সেখানে খরচও কম।’ এভাবে প্রলুব্ধ করে তাদের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তারা চুক্তিমতো কমিশন পান।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরেক দালাল চক্র তৎপর থাকে। চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগী বের হলে তারা রোগীদের ঘিরে ধরে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রটি তার থেকে কেড়ে নিয়ে জোর করে ছবি তুলে নেয়। পরে তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে তাদের চুক্তিভিত্তিক কোম্পানির ওষুধ লিখতে প্রভাবিত করে।