হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার ইনাতাবাদ গ্রামের নাসির মিয়া (২৫), একই গ্রামের আবু জাহেদ (৩৪), ফজল মিয়া (৩৮), ছুনু মিয়া (৩৪), জুবেদ মিয়া (২৪), বিল্লাল মিয়া (২৩), রাজু মিয়া (২৪), দিলদার (২৬), খালেদ মিয়া (২৮), সোলেমান (৩৫), মঈন উদ্দিন (২১), মো. মাফিন উদ্দিন (২০) ও আনমুনু গ্রামের তৌহিদ মিয়া (৩৫) এবং অন্তর মিয়া (২৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদুর রহমান খালেদের লোকজন এবং পৌর কাউন্সিলর নানু মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও কলেজছাত্র তাহসিন হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় নানু মিয়ার লোকজন খালেদুর রহমানের মালিকানাধীন রাজা কমপ্লেক্স ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীরা সেখানে জড়ো হন। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট। অগ্নিসংযোগ করা হয় একটি মোটরসাইকেলে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।