নিউ জিল্যান্ডের উইকেট কেমন হতে পারে সেই ধারণা আগেই ছিল। অস্ট্রেলিয়াও বোধহয় প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল। তবে এক ক্যামেরন গ্রিন বাদে কেউ কিউই পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। তাতে গ্রিনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭৯ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে প্যাট কামিন্সের দল।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওয়েলিংটনে আকাশের অবস্থা দেখে টস জিতে বোলিং নেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। তবে শুরুতে হতাশ হতে হয় কিউই অধিনায়ককে। দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাজা।
লাঞ্চের আগে এই জুটিতে আঘাত করতেন ম্যাট হেনরি। তার বলে স্মিথ আউট হলে ভাঙে ৬১ রানের জুটি। দেশের বাইরে ওপেনিংয়ের প্রথম ইনিংসে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান করেন ৭১ বলে ৩১। লাঞ্চের পরপর অস্ট্রেলিয়া হারায় মার্নাস লাবুশেনকে। ২৭ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর খাজার সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন গ্রিন। তবে এই জুটিও লম্বা হয়নি। ১১৮ বল খেলে ৩৩ রান করা খাজা বোল্ড হন। ক্রিজে এসেই বিদায় নেন ট্রাভিস হেডও। মাত্র ২৮ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মিচেল মার্শ ও গ্রিন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ইনিংসের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি এরপরই পায় তারা। একপাশে মার্শ আগ্রাসী হয়ে খেলতে থাকেন, আরেকপাশে গ্রিন খেলেন যেতে থাকেন ধীরেসুস্থে।
মার্শ-গ্রিনের ব্যাটে যখন অস্ট্রেলিয়া বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে ঠিক তখনই আঘাত করেন হেনরি। ৩৯ বলে ৪০ রানে ফেরেন মার্শ। জুটি থামে ৭৭ বলে ৬৭ রানে। ইনিংসের বাকি সময়ে কেবলই গ্রিনের গল্প। অ্যালেক্স কেয়ারি, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে ছোট ছোট জুটিতে ফিফটি তুলে নেন গ্রিন।
এরপর পরিস্থিতি বুঝে রানের গতি বাড়ান তিনি। পঞ্চাশ থেকে শতরানে পৌঁছে যান কেবল ৪৬ বলেই। আরেকপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও তিনি মনোযোগ হারাননি একটুও। দিনের শেষে লায়ন আউট হলেও শতরান পূর্ণ করে জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে দিনের শেষটাও নিরাপদে করে মাঠ ছাড়েন গ্রিন।
দিন শেষে চারে নেমে ১৫৫ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত আছেন গ্রিন। তার ২৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। দ্বিতীয় দিন সকালে হ্যাজেলউডকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৫ ওভারে ২৭৯/৯ (গ্রিন ১০৩*, মার্শ ৪০, খাওয়াজা ৩৩; হেনরি ২০-৭-৪৩-৪, ও’রোক ২০-৮-৫৯-২, কুগেলাইন ১৭-১-৫৬-২)