বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের ট্রফি ফটোসেশনে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়কদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের অনুপস্থিতি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে তাতে গা ভাসাতে পারলেন না কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার মতে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার চেয়ে ট্রফি নেওয়ার প্রস্তুতিটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘ইনজাস্টিস হয়েছে কি না আমি জানি না। কিন্তু...কালকে আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে আসবে। তার তো ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না?’
ফটোসেশনের ব্যাপারটা একদম উড়িয়ে দেননি কুমিল্লার কোচ। তবে তার মতে, জায়গাটা আশেপাশে বা স্বল্প দূরত্বের কোথাও হলে ভালো হতো, ‘আমার মনে হয়েছে যে একটা প্রোপার জায়গায় নিতো, কাছে নিতো। এটা হলে যে দুই অধিনায়কই যেতো। কিন্তু এমন একটা জায়গায় দিয়েছে...সেখানে যে গেছে, সে এখন কোমর নাড়াতে পারছে না।’
এবারের আসরে কুমিল্লাকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন দাস। তবে মাঝেমধ্যেই লিটনকে বেশ আক্রমণাত্মক রূপে দেখা গেছে। আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে তো জরিমানাও গুনেছেন। তবে এ ব্যাপারটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে যাবে বলে সালাউদ্দিনের বিশ্বাস। তবে অধিনায়ক হিসেবে লিটনে খুশি দেশসেরা এই কোচ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আমি খুবই ইম্প্রেসড তার (লিটন) অধিনায়কত্বে। তার ক্রিকেট সেন্স নিয়ে অনেক আগেও কথা বলেছি। তার ক্রিকেট সেন্স অনেক ভালো। তবে আরেকটু ঠান্ডা মাথার হলে আরেকটু ভালো হয়। সেটা তার ভবিষ্যতের জন্যই। ’
‘আমার মনে হয় যে তার খেলোয়াড়দের সামলানো থেকে শুরু করে, অনুশীলন বলেন, ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা বলেন; সেটা একটা অধিনায়কের যে গুণাবলী হওয়া দরকার, সেগুলো সবই আছে। কিন্তু যেহেতু নতুন, আমিও শুরুতে এমন ছিলাম। একটা সময় এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমার মনে হয় যে ভবিষ্যতে সে আরও ভালো করবে।’-যোগ করেন সালাউদ্দিন।