তামাকমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি তরুণদের বাঁচাতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট ও স্মোকিং জোনও বন্ধ করতে হবে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির আহ্ছানিয়া মিশন অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। স্মোকিং জোনের মাধ্যমেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে মানুষ। এর ফলে দেশে বছরে মারা যাচ্ছে ১,৬১,০০০ মানুষ। আইন সংশোধন করে ই-সিগারেট ও স্মোকিং জোন বন্ধ করতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাস হলে দেশে আইনটি এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন তরান্বিত হবে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস-এর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মাহিন মালিক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানির পাঁয়তারা করছে। তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তামাক কোম্পানি এ অপতৎপরতা রুখতে হবে। তরুদের বাঁচাতে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।