চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎকরা ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা বিপ্লব বড়ালকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২ মার্চ) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরস্থ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম এতথ্য জানান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিল ছোনাওঠা এলাকা থেকে বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঝালকাঠি জেলার বিল ছোনাওঠা গ্রামের ধীরেন বড়ালের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপ্লব বড়াল নিজেকে এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ ও বিসিএস কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের তরুণী দুর্বা দাশের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বিপ্লব বড়াল। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ১ লাখ টাকাসহ ৬ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে দুর্বা দাশ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবননাশের হুমকি দেন বিপ্লব বড়াল। এছাড়া, টাকা এবং স্বর্ণালংকার ফেরত চাইলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে দুর্বা দাশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, বিপ্লব বড়াল জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) কোনো কর্মকর্তা নয়, একজন প্রতারক। বিপ্লব বড়াল এনএসআইয়ের ভুয়া কার্ড প্রদর্শন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় প্রতারকের নামে মামলা করেন দুর্বা দাশ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, বিপ্লব বড়াল প্রতারণার মাধ্যমে জয়ন্ত ফকিরের কাছ থেকে নগদ ৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং দেবাশীষ রায়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিপ্লব বড়ালের বিরুদ্ধে ২ টি মামলা রয়েছে। তার বড় ভাই মনা বড়াল একজন পেশাদার ডাকাত। তার বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে।