সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীকে গুলি করা শিক্ষক ডা. রায়হান শরিফকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার ব্যবহৃত পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কা মুক্ত বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজটির অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন।
আহত আরাফাত আমিন তমাল শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক রায়হান শরীফকে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে আটক করে সদর থানায় আনা হয়েছে। যেহেতু, এতোবড় একটা ঘটনা ঘটেছে মামলা তো হবেই। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলেই সেটা এজাহার হিসেবে নিয়ে মামলা করা হবে। মামলা হলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষকের গুলিতে শিক্ষার্থী আহত
শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সে এখন শঙ্কা মুক্ত। আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুস সাকিব উচ্ছ্বাস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক অসময়ে ক্লাস নিতে চান। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে রাজি ছিলেন না। তিনি (শিক্ষক) সবাইকে জোর করে ক্লাসে বসান। এরপর তার বন্দুকটি বের করে এক ছাত্রীর কানের পাশে নিয়ে তমালের দিকে গুলি করেন। এরপর গুলিটি তমালের পায়ে লাগে। মূলত তিনি অস্ত্রের প্রদর্শন করার জন্যই গুলিটি করেছেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও তার অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ তা যাচাই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।